সাভারের রানা প্লাজার আহত গার্মেন্টস কর্মী সুখী আকতার। দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায়। এখন হুইল চেয়ারে বসে দিন কাটে। কোরিয়া প্রবাসী আমার এক ফেসবুক বন্ধু কিছু টাকা পাঠিয়েছেন সেটা থেকে কিছু দিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জে সুখীর নিজের গ্রামে একটা দোকান করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম কয়েকজন তরুণ বন্ধুকে সাথে নিয়ে। কাল সেই দোকানটা চালু হবে। কাজি মনির হোসেন রিন্টু, এই উদ্যমী তরুণটি সব দৌড়াদৌড়ি করেছে। কিছুক্ষন আগে রিন্টুর মেসেজ পেলাম, সাথে কিছু ছবি। “আগামি কাল দোকান মিলাদ পড়িয়ে চালু করা হবে। আমি ঢাকা চলে এসেছি। দোকানের জন্য মালামাল কিনে দিয়ে এসেছি।এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বারদের স্বাক্ষি রেখে সুখির ভাইয়ের সাখে একটি চুক্তি করা হয়েছে।দোকান মালিকের সাথে ৫ বছরের চুক্তি হয়েছে। দলিলের অরিজিনাল কপি আমি নিয়ে এসেছি। কোরিয়া প্রবাসি বাংলাদেশিদের সাইনবোর্ড লিখতে দিয়ে এসেছি। দোকানের নাম সুখি স্টোর। দোকানের জামানত-১৫০০০টাকা তাক, চৌকি,ক্যাশবাক্স-৭০০০টাকা মালামাল-২৯৯৪৯টাকা বালতি, জার-১২৭০টাকা মুড়ি ১০কেজি-৪৬০টাকা জেরিকেন ৩টি-৬৫০টাকা চিরা ৫কেজি-১৭৫টাকা কাঠমিস্ত্রি ও কাঠ-৫০০০টাকা ভাড়া-৪০০টাকা দলিল-৩০০টাকা পাল্লা, ফ্যান-১৪০০টাকা চাল ৩০০কেজি-৮৯০০টাকা লাইট, বাতি, তার, হ্যারিকেন-৮০০টাকা বস্তা গুনা, দড়ি, তারকাটা-১২০০টাকা চলতি মুলধন-৫০০০টাকা মোট=৭৭৫০৪টাকা” “সুখী” নিশ্চয় সুখী হবে। ওরা খুব অল্পেই সুখী হতে পারে। আমাদের সকলের শুভকামনা রইল।
